Wednesday, March 24, 2010

আজি হতে শত বর্ষ পড়ে

দৃশ্য-১

টাইটানের বুকে পৃথিবীর লোকেদের কলোনি। টাইটানের আকাশে ৪৭ টা চাঁদ এবং মায়াবী শনি গ্রহ।
কাঁচের স্পেয়ারের মধ্যে বসে, সেই অবাক করা আকাশের দিকে তাকিয়ে বঙ্গ কন্যা দীপা-আসল নাম 156-TREW-2134-3456

সেখানে সেই কৃষ্টাল বলের দিকে তাকিয়ে সে দেখতে পায় অতীতের লোকদের। তাদের ভার্চুয়াল ইমেজরা কথা বলে দীপার সাথে। দীপার সব থেকে ভাল লাগে একজন পূর্ব পুরুষের সাথে কথা বলতে। যিনি ১৯৭২ সালে বাংলা থেকে আমেরিকাতে এসেছিলেন। অন্য রকম লোক। অতীত ভবিষ্যত সব নিয়েই ভাবতেন।
তার সাথে কথোপকপোন শুরু ১৯৭০ সালের বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে

--
-হিংসা কেন ছিল সেযুগে? কেন বাঙালীদের মধ্যে রবীন্দ্র নাথ জন্মালো অথচ ফোর্ড বিল গেটস বা নিদেন পক্ষে একজন নারায়ন মূর্তীও জন্মালো না।

দৃশ্য দুইঃ
১৯৭০ এর নক্সল উত্তাল কোলকাতা-সেই দাদু তখন ২৫ এর যুবক। উত্তর বঙ্গে পুলিশের তারা খেয়ে নদীর ধার দিয়ে হাঁটছে-আর ফ্ল্যাশবাকে শুধুই দেখছে তার হাতে কিভাবে পুলিশ, নিরীহ মানুষ খুন হয়েছে-রক্ত আর পুলিশের তাড়া খেতে খেতে সে তিস্তা সাত সমুদ্র পার করে চলে আসে আমেরিকাতে [ এটা আসলেই খুব বড় দৃশ্য হবে]--ফ্ল্যাশে আরো থাকবে উত্তাল প্রেসিডেন্সি-পরীক্ষা বন্ধ, কারখানা বন্ধ, অফিস পোড়ানো-খাদ্য আন্দোলনে গুলি। কোলকাতার নক্সাল দশকের সব উল্লেখ যোগ্য ঘটনা ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হবে ( কোরিওগ্রাফি)।

দৃশ্য তিনঃ
নিউইয়ার্কের বস্তি। সেখানে দিনে ছাত্র-রাতে ট্যাক্সি ড্রাইভার। কালোদের সাথে পিস্তল হাতে নিয়ে বেয়ার সারভাইভাল ( কোরিও গ্রাফি)। একটা রুমে ৫ জনের সাথে শোয়া, এমন সময় টেলিগ্রাম বাবা অসুস্থ। কিন্ত ফেরার উপায় নেই। টাকা আইন ইচ্ছা কিছুই নেই-( কোরিও)

দৃশ্য চারঃ
নিউয়ার্কের ১০০ তলায় স্ট্যানলি মর্গানের ভাইস প্রেসিডেন্ট সে। হাতে ২০০০ মিলিয়ান ডলারের পোর্ট ফলিও।
জেট সেট জীবন-কোলকাতার দারিদ্র্য তখন অতীত-আদর্শবাদ ওঅতীত। দেখা যাবে সে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে লোটার সব প্ল্যানের মিটিং এ শুধু ক্যারিয়ারের কথা ভেবে, বিবেক বিসর্জন দিয়ে বসের কথায় সয় দিয়ে যাচ্ছে। তাতে দেশটা ডুবল না বাঁচল সেটা না ভেবে-সে শুধুই তার লেটেস্ট ইয়াটের কথায় ভেবে চলেছে।

দৃশ্য ৫ ঃ ১৯৯১। আমেরিকার ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিস। শেষ দুবছর চাকরি নেই। বাড়ি গাড়ি দেনার দায়ে বিক্রি হয়ে গেছে। ছেলে মেয়েরা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সে ভাবছে আমেরিকাতে অর্জন বর্জনটা জীবনে আসলে কি হল? সে এক সময় ভিপি ছিল-সেটা বেশী বাস্তব, না তার বেকারত্ব আরো বেশী বাস্তব? এই সব ভাবতে ভাবতে দেখা হবে এক সন্নাসীর সাথে-আস্তে আস্তে সে সন্ন্যাসী অনাথ আশ্রমে যোগ দেবে ভারতে, আমেরিকাতে। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাবে একদম সাধারন ভাবে, গরীব ছেলেমেয়েদের মধ্যে।

দৃশ্য ৬ঃ আবার টাইটানে ফিরে আসা-এবার দীপা দাদুকে প্রশ্ন করবে-

এই ১২০০০ মাইল পেড়িয়ে কি পেলে জীবনে?
নক্সাল আন্দোলন করেও কি কিছু পেয়েছিলে?
বা যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে মিলিয়ান ডলার বোনাস পেতে তখনই বা কিছু পেয়েছে?
কি খুঁজলে সারা জীবন আর কি পেলে?

No comments:

Post a Comment